‘বাচ্চাকে কী পড়াবো?’ ‘বাচ্চা পড়তে/শোনতে চায় না’। নতুন বাবা-মায়ের উদ্বেগ মেশানো কণ্ঠে এমন কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়। বর্তমান সময়ে শিশু-কিশোররা ‘শোনা’ ও ‘পড়া’র চেয়ে ‘দেখা’তে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। বেশি আকর্ষণবোধ করছে ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের প্রতি। এটা ইতোমধ্যেই অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদদের উল্লেখযোগ্য অংশও এ নিয়ে চিন্তিত।
কিন্তু চিন্তাশক্তি গঠনে ‘শোনা’ খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাচ্চাকাল থেকে একজন যতবেশি মনোযোগী শ্রোতা হয়ে ওঠবে, বড় হতে হতে তার এই অভ্যাস আরও বাড়বে। চিন্তা ও কর্মে সাফল্য আসার প্রথম দিককার শর্ত হচ্ছে ভালো ও মনোযোগী শ্রোতা হওয়া।
ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের ছড়াছড়িতে বাচ্চারা এখন শুধু শুধু ‘শোনা’ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, বা গেছে। মা-বাবার মুখ থেকে গল্প শোনার চেয়ে মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও দেখতে তারা বেশি আগ্রহী।
গল্প শোনতে আগ্রহী না হওয়ার একটি কারণ হলো, বাচ্চাদেরকে ‘আকর্ষণীয় গল্প’ বলার বা ‘গল্পকে আকর্ষণীয়ভাবে বলা’র ক্ষেত্রে অভিভাবকের অক্ষমতা।
‘গল্পে গল্পে প্যারেন্টিং’ বইটিতে এক্ষেত্রে মা-বাবাদের জন্য কিছু চমৎকার পরামর্শ ও দৃষ্টান্ত নিয়ে হাজির হয়েছেন লেখিকা। গল্পকে বাচ্চার কাছে খুবই হৃদয়গ্রাহী করে তোলার পদ্ধতি তিনি বাতলে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল ভাষায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে রক্ষণশীল সমাজে তার বেড়ে ওঠা এবং পশ্চিমের আধুনিক সমাজে পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়েছেন। ইন্টারেনেটের মায়াজাল থেকে বাচ্চাকে মুক্ত রাখার চেষ্টার পাশাপাশি নিজের রক্ষণশীল মূল্যবোধের মধ্যে থেকে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে কিভাবে বাবা-মাকে পারদর্শী হয়ে ওঠতে হবে- লেখিকা এ বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করছেন তার ‘প্যারেন্টিং সিরিজ’-এ। আলোচ্য বইটি সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব।
Title | গল্পে গল্পে প্যারেন্টিং |
---|---|
Author | কানিজ ফাতিমা |
Publisher | বাংলা পাবলিশার্স |
Edition | 1st Published, 2019 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Reviews
There are no reviews yet.