চমস্কি এ পর্যন্ত বিভিন্ন মনীষীর দেয়া ভাষার সংজ্ঞার্থগুলো পর্যালোচনা করে বলেছেন যে সেই সংজ্ঞার্থগুলোতে ভাষার বুনিয়াদি বৈশিষ্ট্য কী সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তাই তিনি ভাষার বুনিয়াদি বৈশিষ্ট্য তথা স্বরূপকে সংজ্ঞায়িত করেছেন তার সঞ্জননী ব্যাকরণে। তার মতে, ভাষার বুনিয়াদি বৈশিষ্ট্য হল পদানুক্রমে কাঠামোকৃত অভিব্যক্তিরাজির অগণন বিন্যাসের সঞ্জনন যা ধারণা-বাসনাগত আন্তর্মুখ বা ইন্টারফেইসে সমাপতিত হয়ে এক প্রকার চিন্তাভাষের জোগান দেয়। এই সংজ্ঞার্থ অনুযায়ী ভাষা মানেই চিন্তাভাষ- একটি চিন্তা ব্যবস্থা। আর আমরা যে বুলি ব্যবহার করি তাকে বলা যায় সেই চিন্তাভাষেরই ডেরিভেটিভ বা জাত-জিনিশ।
‘শব্দ হয় শব্দের ঘরে’ (২০১৮) বইয়ের প্রথম প্রবন্ধে এই আলোচনার সাপেক্ষে উপস্থাপন করা হয়েছে লালন দর্শনে ভাষার স্বরূপ কিভাবে হাজির আছে।